দক্ষ সামুদ্রিক জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই : নৌপ্রতিমন্ত্রী

Passenger Voice    |    ০৩:০৬ পিএম, ২০২৩-১২-৩০


দক্ষ সামুদ্রিক জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই : নৌপ্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের শতকরা ৯০ ভাগের বেশি সমুদ্রপথে পরিচালিত হয়। সমুদ্রগামী জাহাজে দেশের সিফেয়ারারদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষ সামুদ্রিক জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি রংপুর ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পাবনা এর ‘২য় ব্যাচ ক্যাডেটদের গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।

এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের গৃহিত ডেল্টা প্লান-২১০০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ ও সুনীল অর্থনীতির সফল বাস্তবায়ন এবং মেরিটাইম সেক্টরের উন্নতির মধ্যে বর্তমান ও আগামী শতকের সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনের মূলমন্ত্র নিহিত। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনীল অর্থনীতি বাস্তবায়ন ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে দেশীয় মেরিটাইম অর্গানাইজেশনগুলো বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এই ধারা চলমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিশ্বমানের নৌ নেতৃত্ব গঠনে বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মেরিন সেক্টরে আমাদের দক্ষ জনবল রয়েছে। 

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দক্ষতাকে আরো শক্তিশালী এবং বেগবান করতে প্রয়োজন অব্যাহত কঠোর অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণ। প্রচলিত প্রশিক্ষণকে বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রবর্তিত ডেভেলপমেন্ট অব মেরিন একাডেমি ১৯৭৩ শীর্ষক প্রকল্প এবং টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ বাস্তবায়ন এবং সমুদ্র বিজয়ের পর বিশাল সমুদ্ররাশির সংরক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সুফল অর্জনের জন্য দক্ষ সামুদ্রিক জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে দেশে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারই ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে ২০২১ সাল থেকে রংপুর, পাবনা, বরিশাল ও সিলেট-এ আরও চারটি নতুন মেরিন একাডেমির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া ২০১৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোকে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেরিন একাডেমিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী ক্যাডেটরা শুধু প্রশিক্ষিতই হবে না, দেশে বিদেশে তাঁদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগে দেশে বেকার সমস্যা দূর হবে। আমাদের নতুন মেরিন একাডেমিগুলোর জন্য অত্যাধুনিক সিমুলেটর সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুর এর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মো. শফিকুল ইসলাম সরকার এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা এর কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মো. তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ক্যাডেটদের সালাম গ্রহণ, কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও পুরস্কার প্রদান করেন।